শনিবার ১৮ মে ২০২৪
Online Edition

আইভরি কোস্টের রাজধানীতে কারফিউ জারি

আবিদজান থেকে এএফপি : আইভরি কোস্টের স্বঘোষিত প্রেসিডেন্ট লরা বাগবো তার প্রতিদ্বনদ্বী প্রেসিডেন্ট প্রার্থী আলাসানে ওয়াত্তারার সমর্থক অধ্যুষিত রাজধানীর কয়েকটি এলাকায় গত বৃহস্পতিবার কারফিউ জারি করেছেন। গতদিন ওয়াত্তারার সমর্থকদের সঙ্গে বাগবোর অনুগতদের সহিংসতায় কমপক্ষে ১১ জনের প্রাণহানির পর এ কারফিউ জারি করা হয়। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচারিত এক ঘোষণায় বলা হয়েছে, ‘রাজধানীর আবোবো ও আনামা এলাকায় শনিবার পর্যন্ত সন্ধ্যা ৭টা থেকে সকাল ৬টা কারফিউ বলবৎ থাকবে।' রাজধানীর উত্তরাঞ্চলের অধিকাংশ বাসিন্দা ওয়াত্তারার সমর্থক। গত ২৮ নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তার বিজয় আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত।ওয়াত্তারা গত কয়েক সপ্তাহ ধরে রাজধানী আবিদজানের গলফ হোটেলে অবস্থান করছেন। তবে বাগবোর অনুগত সৈন্যরা তার হোটেলের চারপাশে অবস্থান নিয়েছে। বাগবোর প্রতিরা ও নিরাপত্তা বাহিনী (এফডিএস) মঙ্গলবার ভোরে আবোবো এলাকায় হানা দেয়ার পর সহিংসতায় কমপ৮৮ পুলিশ ও ৩ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। আবোবোর পাশেই আনামা'র অবস্থান।আইভরি কোস্টের সেনা প্রধান ও বাগবোর অনুগত জেনারেল ফিলিপ মাংগু নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলার নিন্দা জানিয়েছে। মাংগু বলেক, সবাইকে নিরাপদ রাখার উদ্দেশ্যে এই কারফিউ জারি করা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা মঙ্গলবার সকালে অস্ত্র উদ্ধারের নামে প্রতিটি বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে। এদিকে, আবোবো শহের গত মঙ্গলবার রাতে টহল দেয়ার সময জাতিসংঘ শান্তিরীদের ওপর বাগবোর অনুগত বাহিনী হামলা চালায়। এতে তিন শান্তিরক্ষী আহত হয়। জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন গত বুধবার এক বিবৃতিতে শান্তিরীদের ওপর হামলার জন্য বাগবোর প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন। তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘ শান্তিরীদের ওপর যে কোন ধরণের হামলা অগ্রণযোগ্য।' তিনি এসব কর্মকান্ডের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের সতর্ক করে দেন। বান বলেন, ‘শান্তিরীরা আবোবো জেলাতেই থাকবে এবং তারা নিরপেক্ষ ও পেশাদারিত্বের মনোভাব নিয়ে তাদের দায়িত্ব পালন করে যাবে।' আইভরি কোস্টের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা ভারী মেশিনগান সজ্জিত পিকআপ ভ্যানে করে বিভিন্ন এলাকায় টহল দিচ্ছে এবং মাঝে মাঝে ফাঁকা গুলী ছুড়ছে। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘আমাদের কোন সেনা বাহিনী নেই। বাগবোর বিশ্বস্ত সেনারা এখানে আসছে এবং বেসামরিক নাগরিকদের ওপর গুলী ছুঁড়ছে। আমাদের নিজেদের রার কোন উপায় নেই। একটি নিরাপত্তা সূত্র জানায়, মঙ্গলবার রাতে পুলিশের ওপর দফায় দফায় রকেট চালিত গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। জাতিসংঘের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আইভরি কোস্টে নির্বাচনোত্তর সহিংসতায় ২ শতাধিক লোক নিহত হয়েছে। উল্লেখ্য, গত ২৮ নবেম্বর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাগাবো ও ওয়াত্তারা উভয়ে নিজেদের বিজয়ী ঘোষণার পর দেশে রাজনৈvাতক অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। দেশে গৃহযুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার আশংকা করা হচ্ছে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ