বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪
Online Edition

প্লে-অফের আশা বাঁচিয়ে রাখলো মাহমুদউল্লাহর ঢাকা

সিলেট ব্যুরো : বিপিএলে আগের দিন তামিম ইকবাল ও নাঈম শেখ ক্রিজে থাকলেও ম্যাচ জিততে পারেনি ঢাকা। বুধবার অবশ্য ভুল করেনি মাহমুদউল্লাহর দল। খুলনার বিপক্ষে জিততে শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ৬ বলে ১১ রান। থিসারা পেরেরাকে প্রথম দুই বলে ছক্কা মেরে মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকাকে জয়ের বন্দরে নিয়ে গেছেন শুভাগত হোম। ১৩০ রানের জবাবে খেলতে নেমে ঢাকা ৪ বল হাতে রেখেই ৫ উইকেটের জয় নিশ্চিত করেছে। তাতে প্লে-অফের আশাও বেঁচে রইলো মাহমুদউল্লাহদের।সিলেট আনমশর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ১৩০ রানের জবাবে খেলতে নেমে শুরুতেই চাপে পড়ে ঢাকা। দলীয় ১২ রানে ফিরেছেন দুই ওপেনার। তৃতীয় উইকেটে মাহমুদউল্লাহ-জহুরুল মিলে ৫৭ রানের জুটি গড়ে প্রাথমিক বিপর্যয় সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। দারুণ এই জুটি ভাঙে জহুরুলের বিদায়ে। ৩৫ বলে ২ চার ও ২ ছক্কায় নিজের ইনিংসটি সাজিয়েছেনরুল।প্রথম ম্যাচ খেলার সুযোগ পাওয়া শামসুর রহমান ঢাকা অধিনায়ককে নিয়ে তার পর যোগ করেন ৩২ রান। মাহমুদউল্লাহ ৩৪ রানে ফিরলেও ১৪ বলে ১ চার ও ২ ছক্কায় ২৫ রানের ইনিংস খেলে ছন্দ ধরে রাখতে অবদান রাখেন শামসুর। তার আউটের পর বাকি পথটুকু সহজেই পাড়ি দেন শুভাগত হোম (১৮) ও আজমতউল্লাহ ওমরজাই (১০)।  খুলনার বোলারদের মধ্যে থিসারা পেরেরা ৩৯ রানে সর্বোচ্চ দুটি উইকেট নেন। এছাড়া নাবিল, রুয়েল ও খালিদ একটি করে উইকেট পেয়েছেন।শুরুতে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন খুলনা টাইগার্সের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। কিন্তু টপ অর্ডার সেই সিদ্ধানেত্র মর্যাদা রাখতে পারেনি। ৩২ রানে ৫ ব্যাটারকে হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়ে তারা। পুরো চাপ গিয়ে পড়ে সিকান্দার রাজার কাঁধে। পরে জিম্বাবুয়ের এই ক্রিকেটারই ছোট ছোট জুটিতে দলের স্কোর সমৃদ্ধ করেছেন। প্রথমে ৬ষ্ঠ উইকেটে মেহেদী হাসানকে সঙ্গে নিয়ে ২৬ রানের জুটি গড়েন। মেহেদী ১৭ রানে আউট হলে ক্রিজে নামেন থিসারা পেরেরা। সপ্তম উইকেটে তাকে সঙ্গে নিয়ে সিকান্দার ৩৯ রানের কার্যকরী জুটি গড়েন। এই জুটিতেই মূলত একশোর কাছাকাছি পৌঁছায় খুলনা।  থিসারা ১২ রানে আউট হলে রুয়েল মিয়াকে সঙ্গে নিয়ে আবার ৩২ রানের জুটিতে দলকে টেনে নিয়ে গেছেন। আর তাতেই খুলনার স্কোর গিয়ে পৌঁছায় ১২৯ রানে।শেষ ব্যাটার হিসেবে শেষ বলে লংঅনে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন রাজা। আউট হওয়ার আগে ৫০ বলে ৫ চার ও ৪ ছক্কায় খেলেছেন ৬৪ রানের অসাধারণ এক ইনিংস। আন্দ্রে ফ্লেচার, মুশফিক, সৌম্য, ইয়াসির কেউই রানের দেখা পাননি। মূলত সিকান্দার রাজার একার লড়াইয়েই খুলনার সংগ্রহ গিয়ে দাঁড়ায় ৮ উইকেটে ১২৯ রানে।ঢাকা অভিজ্ঞ মাশরাফিকে ছাড়াই বোলিং আক্রমণ সাজিয়েছিল। তবে তারা কেউই মাশরাফির অভাব অনুভব করতে দেননি। দলের হয়ে আরাফাত সানি ও আজমতউল্লাহ ওমরজাই সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট নিয়েছেন। ১৫ রানে দুই উইকেট নিয়ে খুলনার ব্যাটিং গুঁড়িয়ে দিয়ে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতেছেন আরাফাত সানি।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ