রবিবার ১৯ মে ২০২৪
Online Edition

বায়ার্নকে বিদায় করে ১৬ বছর পর সেমিতে ভিয়ারিয়াল

প্রথম লেগে ১-০ লেগে হারার পরেও সেমিফাইনালে ওঠার ব্যাপারে আশাবাদী ছিলেন বায়ার্নের ফুটবলাররা। যে মাঠে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব ভুরি ভুরি, সেই ঐতিহ্যবাহী মাঠে প্রায় ৭০ হাজার সমর্থকদের সামনে জার্মান চ্যাম্পিয়নদের বিদায়ের ঘণ্টা বাজিয়ে দিয়ে ১৬ বছর পর চ্যাম্পিয়ন্স লীগের সেমিফাইনালে ভিয়ারিয়াল।দুই লেগ মিলিয়ে ২-১ ব্যবধানে পরের রাউন্ডে উঠে যেত বায়ার্ন। ব্যবধান ২-১ হলো ঠিকই, তবে গোটা টাই-এর ভাগ্য হেলে গেল ভিয়ারিয়ালের দিকে। বায়ার্নের মাঠে আসা প্রায় সত্তর হাজার দর্শকের চিৎকার ভিয়ারিয়াল খেলোয়াড়দের মনে কাঁপন ধরাল না। ৮৮ মিনিটে গোল করে দ্বিতীয় লেগের স্কোরলাইন ১-১ করে ফেলল হলুদ সাবমেরিনরা। আর তাতেই দুই লেগ মিলিয়ে ২-১ ব্যবধানে চ্যাম্পিয়নস লীগের সেমিফাইনালে উঠে গেল ভিয়ারিয়াল।প্রথম লেগের জয়ের ফলে বায়ার্নের মাঠে একটা গোলশূন্য ড্র হলেও চলত ভিয়ারিয়ালের। প্রতিপক্ষ যখন বায়ার্ন, তখন সফরকারীদের রক্ষণাত্মক ফুটবলকেই মনে হচ্ছিল ম্যাচের নিয়তি।তবে কোচ উনাই এমেরি শুরু থেকে দলকে সে পথে হাঁটাননি। রক্ষণে মনোযোগ ছিল অবশ্যই, প্রতি আক্রমণে বায়ার্ন রক্ষণেও ত্রাস ছড়িয়েছে বেশ। প্রথমার্ধের শেষ পাঁচ মিনিটে আর্নাউ দানজুমা আর জেরার্ড মোরেনো দারুণ দুটো সুযোগ নষ্ট না করলে তখনই গোলের দেখা পেয়ে যেত ভিয়ারিয়াল।এর আগে বায়ার্নও চেষ্টা কম করেনি। তবে আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক হেরোনিমো রুলির গোটা কয়েক সেভ সেসব আক্রমণকে আলোর মুখ দেখতে দেয়নি। ফলে গোলশূন্যভাবেই শেষ হয় প্রথমার্ধ।রুলি শুরুর ৪৫-৫০ মিনিট দলকে বিপদমুক্ত রাখলেও ৫২ মিনিটে আর পারেননি। বক্সের একটু ভেতর থেকে সুযোগটা পেয়েই আগুনে এক শটে গোল পেয়ে যান রবার্ট লেভান্ডভস্কি।গোলের পরের বিশ মিনিট মাঝমাঠে আধিপত্য ছিল বায়ার্নের। বল হারালেই সাঁড়াশি আক্রমণের মাত্রা বাড়ছিল ক্রমেই। ৭৫ মিনিটে এক প্রতি আক্রমণে যে ধারাটা ভাঙে ভিয়ারিয়াল। ইন্টারনেট।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ