শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪
Online Edition

জঙ্গীবাদ প্রতিরোধে অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে

স্টাফ রিপোর্টার : জঙ্গিদের কৌশল মোটামুটি একই। জঙ্গিরা যে বিষয়ে টার্গেট করে এ বিষয়গুলো সম্পর্কে আমাদের অভিভাবকদের সচেতন করতে হবে। সন্তানদের হঠাৎ করে বদলে যাওয়ার বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণ করতে হবে। জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে অভিভাবকদের সচেতনতা জরুরী। কাউন্টার টেররিজম এ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) আয়োজনে কাউন্টার টেররিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম এর সহযোগিতায় ‘উগ্রবাদ প্রতিরোধে গণমাধ্যমকর্মীর ভুমিকা’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। গত রোববার সিরডাপ মিলনায়তনে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

ক্র্যাব সভাপতি মির্জা মেহেদী তমালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু। কর্মশালায় প্রশিক্ষক ছিলেন সিটিটিসির ডিসি মাহফুজুল হক, পুলিশ সদর দপ্তরের পুলিশ সুপার নাজমুল হক, সিটিটিসির সহকারি কমিশনার নাজমুল ইসলাম, সিনিয়র সাংবাদিক জুলফিকার আলী মানিক। অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্বাবধানে ছিলেন ক্র্যাবের প্রশিক্ষণ ও তথ্য প্রযুক্তি সম্পাদক সাজ্জাদ মাহমুদ খান। সিটিটিসি প্রধান আসাদুজ্জামান বলেন, ২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেন। এরপর থেকে সিটিটিসি দেশে জঙ্গি দমনে কাজ করে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে সফলতাও মিলেছে। দেশ থেকে জঙ্গিবাদ যেভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে তা বিশ্বে রোল মডেল। জঙ্গিবাদ দমনে বাংলাদেশ ৪০তম অবস্থানে রয়েছে। কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলার পর থেকে এ পর্যন্ত দেশে কোনো জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেনি। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে নিরাপদ দেশ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে বাংলাদেশ। তিনি বলেন, প্রথমবারের মত জঙ্গিবাদের উপর ব্যাপক গবেষণা করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ৩৪টি গবেষণা সম্পন্ন হয়েছে। তিনি জঙ্গিবাদ নিয়ে কাজ করা রিপোর্টারদের আরো যতœশীল হওয়ার আহবান জানান। পাশাপাশি সিটিটিসির পক্ষ থেকে জঙ্গিবাদ নিয়ে বিশেষ ফেলোশিপের ব্যবস্থা করা হবে উল্লেখ করেন তিনি।

তিনি আরো বলেন, আমরা সব জঙ্গি আস্তানা গুড়িয়ে দিয়েছি। আস্তানা যদি গুঁড়িয়ে দেওয়া না যেত তাহলে আরও বড় বড় ঘটনা ঘটতে পারত। এটা আমাদের সফলতা বলেও তিনি উল্লেখ করেছেন। যারা রেডিকালাইজড হয়ে জঙ্গিবাদে জড়িয়েছে, তাদের অবস্থাটা কেমন হয়েছিল, একদিনেই তারা বদলে যায়নি। তারা দিনের পর দিন বদল এনেছে। বাসা থেকে বের হয়ে বা হিজরতে কারা অনুঘটক হিসেবে কাজ করেছে, বের করুন। কী এমন স্বপ্ন তাদের দেখানো হয়েছিল, শুধু খবর প্রচারই নয়, গণমাধ্যমের দ্বৈত ভূমিকা নিতে হবে। যাতে করে জঙ্গিবাদ সমূলে নির্মূল করা যায়। 

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ