মানিকগঞ্জে রেললাইন চাই
যোগাযোগের সবচেয়ে নিরাপদ, আরামদায়ক এবং স্বল্প ব্যয়সাপেক্ষ মাধ্যম হচ্ছে রেল যোগাযোগ। যাত্রী এবং পণ্যদ্রব্য পরিবহনে রেল যোগাযোগের গুরুত্ব অপরিসীম। মানিকগঞ্জ জেলার পাটুরিয়া ফেরি ঘাট থেকে মানিকগঞ্জ সদর (কোতোয়ালি) উপজেলা, সাভার, হেমায়েতপুর, গাবতলী এবং পল্লবীর রূপনগর হয়ে বনানী রেল স্টেশন পর্যন্ত একটি লিংক রেললাইন নির্মাণ করতে হবে। এই রেললাইনটি নির্মাণ করা হলে পাটুরিয়া ফেরিঘাট থেকে ঢাকা পর্যন্ত কমিউটার (অফিসিয়াল) ট্রেন চালু করা যাবে। তখন মানিকগঞ্জের মানুষ ঢাকায় নিয়মিত অফিস করতে পারবে। কৃষকরা শাক-সবজিসহ সব ধরনের কৃষিপণ্য লোকাল এবং মেইল ট্রেনে খুব কম খরচে ঢাকায় নিয়ে আসার সুযোগ পাবে। সাভারে অবস্থিত ঢাকা ইপিজেড এর অন্তর্গত শিল্প-কারখানায় উৎপাদিত পণ্য কন্টেইনার ট্রেনে খুব কম খরচে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছানো যাবে। পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া পয়েন্টে ‘দ্বিতীয় পদ্মা সেতু’ এবং পাটুরিয়া-কাজীরহাট পয়েন্টে ‘দ্বিতীয় যমুনা সেতু’ নির্মাণের পর খুলনা, রাজশাহী এবং রংপুর বিভাগের মানুষও এই রেললাইন দিয়ে ঢাকা, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ এবং সিলেট বিভাগের জেলাগুলোতে স্বল্প খরচে নিরাপদ এবং আরামদায়ক ভ্রমনের সুযোগ পাবে। সেই সাথে মানিকগঞ্জসহ এই অঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্যে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। রাজশাহী-ঢাকা রুটে ট্রেন ভ্রমনের সময় দুই ঘন্টা এবং খুলনা-ঢাকা রুটে ট্রেন ভ্রমনের সময় পাঁচ ঘন্টা কমে যাবে। সুতরাং এই রেললাইনটি নির্মাণ করা খুবই জরুরি। যত দ্রুত কাজ শুরু করা যাবে ততই কম খরচে কাজ শেষ করা যাবে। শিগগিরই এই রেললাইনটি নির্মাণের উদ্যোগ নেয়ার জন্যে মাননীয় রেলমন্ত্রীর কাছে আকুল আবেদন জানাচ্ছি।
-রফিকুল বাশার
৯৮৬, পূর্ব শেওড়াপাড়া, কাফরুল, ঢাকা-১২০৬।
কারিগরি শিক্ষার
সংস্কার প্রয়োজন
কারিগরি শিক্ষা গ্রহণের মাধ্যমেই দক্ষ জনশক্তি গড়া সম্ভব। আর সেই শিক্ষা গ্রহণই যদি সনদপত্র অর্জনের জন্য হয় তাহলে কি দক্ষ জনশক্তি গড়া সম্ভব? সরকারি-বেসরকারি সকল কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষ কারিগরি শিক্ষা গ্রহণের জন্য ভর্তি হয়। তারা সেখানে হাতে কলমে শিক্ষা ব্যতিরেকে সনদপত্রের দিকে বেশি মনোনিবেশ করছে। এছাড়াও তাদের যে ব্যবহারিক পরীক্ষাগুলো নেয়া হয় সেটা শুধু মানুষ দেখানো ছাড়া আর কিছুই না। বিশেষ করে ড্রাইভিং লাইসেন্সগুলোর ক্ষেত্রে একটু কঠোর পদক্ষেপ না নিলে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনার হাত থেকে জাতিকে রক্ষা করা অসম্ভব। এইভাবে চলতে থাকলে দক্ষ জনশক্তির দেশ গড়া আর আকাশ কুসুম কল্পনা করা একই কথা। তাই কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, কারিগরি শিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে শুধু সনদপত্রের জন্যই নয়, দক্ষতা অর্জনের জন্য সবাইকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে এবং সেই সাথে ব্যবহারিক পরীক্ষায়ও কঠোর হতে হবে।
-মোঃ মিতুল হাসান
শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়া।
রংপুর সিটি কর্পোরেশনের
দৃষ্টি আকর্ষণ
রংপুর বিভাগের প্রবেশদ্বার বলা হয় রংপুর সিটি কর্পোরেশনের অন্তর্ভুক্ত মডার্ন মোড়কে। বিভাগের ৮টি জেলার মধ্যে ৭টি জেলার বিভিন্ন যানবাহন অন্যান্য জেলায় যাতায়াত করতে এই মডার্ন মোড়কে ব্যবহার করে থাকে। ফলে হাজার হাজার যানবাহন চলাচল করে এই ব্যস্ততম নগরী দিয়ে। এই ব্যস্তময় জায়গার রাস্তার পাশেই দেখা যায় দুটি মনোহর কৃষ্ণচূড়া বৃক্ষ এবং অগণিত পক্ষী। বিশেষ করে শীতকালে বিভিন্ন জায়গা থেকে হাজার হাজার বাবুই পাখি উড়ে এসে গাছগুলোকে অভয়ারণ্য মনে করে এবং গোধূলি লগ্নের কিছুক্ষণ পর তারা তাদের নীড়ে চলে আসে। এতে কৃষ্ণচূড়া গাছ যেন অধিক সৌন্দর্যম-িত হয়। কিন্তু অধিকাংশ গাড়ী চালকেরা রাতের বেলা অযাচিতভাবে জোরে হর্ণ বাজিয়ে পাখিদের জীবন বিপন্ন ও আতঙ্কিত করে তুলে এবং সুন্দর একটা ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়। এটা খুবই দৃষ্টিকটু। রাস্তার উভয় দিকে সাইনবোর্ড লাগিয়ে যদি ড্রাইভারদের বিষয়টি নজরে দেয়া যেত, কিছুটা হলেও সমস্যা লাঘব হতো। তাই, রংপুর সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষের প্রতি সুদৃষ্টি কামনা করছি।
-মোঃ আরাফাত
শিক্ষার্থী, মার্কেটিং বিভাগ।
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর।
নিরাপদ সড়ক চাই
একটি দুর্ঘটনা সারাজীবনের কান্না। সড়কে চলছে মৃত্যু মিছিল এ যেন থামার নয়। প্রত্যহ পত্রিকার কল্যাণে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, সড়কে ঝড়ে যাচ্ছে আগামীর স্বপ্ন। এই মৃত্যুর মিছিল থেকে বাদ পড়ছে না কৃষক, শ্রমিক, শিক্ষক ও শিক্ষার্থী কেউই। সড়ক দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের (এআরআই) হিসাবমতে, ২০১৬ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ছয় বছরে ২১ হাজার ৬৬২ জন সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন। অপরিকল্পিত সড়ক নির্মাণ ও সংস্কার, পথচারীদের জন্য আলাদা জায়গা না থাকা, ব্যস্ত লোকালয়ে রাস্তা পারাপারে ফুটওভার ব্রিজ না থাকা, ফিটনেসবিহীন বাস চলাচল বন্ধ না করা, অদক্ষ হেলপার ও ড্রাইভারের মাধ্যমে যানবাহন চলাচল, যানবাহনের অতিরিক্ত গতি, মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানো, হেলমেট না পরা এবং সিটবেল্ট না বাঁধা ও অন্যমনষ্ক হয়ে রাস্তা পারাপারের কারণে সড়কে দুর্ঘটনা ঘটে। ফিটনেসবিহীন বাস বন্ধ করে দেয়া, পরিবহন শ্রমিকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা, জবাবদিহিতা ও নৈতিকতা ফিরিয়ে আনতে কাজ করা, সড়ক নির্মাণ ও সংস্কারে সুষ্ঠু নীতিমালা প্রণয়ন এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে ক্যাম্পেইন করার মাধ্যমে সড়ক নিরাপদ রাখতে সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
-ইসমাইল হোসেন রাহাত
শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া।
ঘুষের রেট টাঙিয়ে দিন!
দেশের সর্বত্র সুদ, ঘুষ, দুর্নীতির ছড়াছড়ি। হাতেগোনা গুটিকয়েক ছাড়া সর্বত্র যেনো নীতি নৈতিকতা বিসর্জন দিয়ে পকেট ভারি করার নেশায় মেতে উঠেছে আমাদের সেবক নামের শোষকেরা। সরকারি অফিসগুলোতে এমন ব্যবহার করা হয় মনে হয় যেনো সাধারণ মানুষ এদেশের সম্মানিত নাগরিক নয়; বরং চাকর। জনগণের ট্যাক্সের টাকায় পড়াশোনা করে, বেতন খেয়ে বেড়ে উঠা অসাধু সরকারি চাকরিজীবীরা ভুলেই গেছে তাদের চালক জনগণ। এক ফাইল সরাতে লেগে যায় বছরের পর বছর। একটি জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের কাজ সারতে লেগে যায় এক মাসেরও বেশি সময়। গুণতে হয় সরকার নির্ধারিত ফি এর অতিরিক্ত অর্থ। যেটাকে ঘুষ না বলে এখন সম্মানি বলা হয়! সম্পূর্ণ ঘরে বসে জন্ম নিবন্ধন বাংলা থেকে ইংরেজিতে ট্রান্সলেট করার আবেদন করেও সরকার নির্ধারিত ফি এর বাইরে স্থানীয় অফিসে ডিজিটাল সেন্টার ফি নামে গুণতে হচ্ছে আরো ১৩০ টাকা। এরপরেও কাজের নেই কোনো অগ্রগতি। ঘুষ বা অতিরিক্ত অর্থ এখন সমাজে নিয়মে পরিণত হয়েছে। এটা ওপেন সিক্রেট বিষয়। সবাই জানে এরকম দিতে হয়, কিন্তু এটা যে ঘুষ তা কেউ বলে না। অসৎ মানুষের সংখ্যা এতোটাই বেড়ে গেছে, সৎ মানুষগুলোর টিকে থাকাও যেনো কষ্টকর।
এভাবেই রেড ট্যাপিজম, যেখানে সেখানে ঘুষের লীলা খেলা চলছে অহরহ। ঘুষ নিয়ে দর কষাকষিও করতে দেখা যায় অনেক অসাধু কর্মকর্তাকে। রীতিমতো এমন দর কষাকষি না করে ঘুষের রেটের তালিকা অফিসের সামনে টাঙিয়ে দিলে সাধারণ জনগণের ভোগান্তি অনেকাংশে লাঘব হবে বলে মনে করেন ভোক্তভুগি সাধারণ জনগণ।
-আবু মো. ফজলে রোহান
চৌদ্দগ্রাম, কুমিল্লা।
রেললাইন পারাপারে সচেতন
হওয়া জরুরি
বর্তমানে ট্রেন চাপায় মৃত্যু যেন নিত্য দিনের খবরের শিরোনামে পরিণত হয়েছে। এই অনাকাক্সিক্ষত মৃত্যুর জন্য যেমন বাংলাদেশের রেল ব্যবস্থাপনা দায়ী। তার চেয়ে বেশি দায়ী হলো মানুষের অসচেতনতা। মানুষের অচেতন ভাবে চলাচলের কারণে প্রতিনিয়ত এই দুর্ঘটনা ঘটে চলছে। যে সকল কারণে বর্তমানে এই দুর্ঘটনা ঘটছে তার মধ্যে অন্যতম হলো অসাবধানভাবে রেললাইন পারাপার, হেডফোন ব্যবহার করে রেললাইনে হাঁটা, রেললাইনে বসে বিভিন্ন গেইম খেলা এছাড়াও ট্রেন দেখেও তাড়াহুড়ো করে রেললাইন পারাপার করতে মানুষ এই দুর্ঘটনার সম্মুখীন হচ্ছে। যা খুবই দুঃখজনক একটা বিষয়।
এই অনাকাক্সিক্ষত দুর্ঘটনার কারণে কোন স্ত্রী হারাচ্ছে তার স্বামীকে, কোনো মা-বাবা হারাচ্ছে ছেলে কিংবা মেয়েকে এমনকি কোন পরিবার হারাচ্ছে তার পরিবারের একমাত্র উপার্জনশীল ব্যক্তিকে। যার ফলে পথে বসতে হচ্ছে সেই পরিবারটিকে। এই দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আমাদের একটু খানি সচেতনতা। নিজে সচেতন হই অন্যকে সচেতন করি মৃত্যু ফাঁদ ট্রেন দুর্ঘটনা রোধ করি।
-মিজানুর রহমান মিজান
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ।
রিডিং রুম সংকট
জ্ঞানচর্চার সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ বিশ্ববিদ্যালয়। যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের পড়াশোনার জন্য সকল সুযোগ সুবিধা পাওয়ার কথা সেখানে স্বাধীন বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যয়নরত ছেলে মেয়েরা পাচ্ছে না পড়াশোনার জন্য যথেষ্ট পড়ার জায়গা (পাঠকক্ষ)। বছর বছর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা বাড়ছে, ডিপার্টমেন্ট বাড়ছে কিন্তু বাড়ছে না শ্রেণিকক্ষ ও পাঠকক্ষগুলোর আয়তন। বিশ্ববিদ্যালয়ে একমাত্র গ্রন্থাগারের অবস্থা আরও জটিল; নেই কোনো নতুন সংকলনের বই। নেই পর্যাপ্ত পরিমাণে ফ্যান এবং লাইট। অর্থাৎ সেখানে পড়াশোনা করার মতো নেই কোন উপযুক্ত পরিবেশ। বিভিন্ন সমস্যার কারণে অনেকে গ্রন্থাগারে যাওয়া বাদ দিয়েছে। আবাসন সংকটের পাশাপাশি বেড়েই চলেছে হলের রিডিং রুমে পড়ার জায়গার সংকট। হলে ছাত্ররা পাঠকক্ষে পড়ার যথাযথ জায়গা না পেয়ে পত্রিকা কক্ষ ও টিভিরুমে পড়া আরম্ভ করেছে। আমি নিজে বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। আমরা দীর্ঘদিন যাবৎ এই সমস্যায় ভুগছি। শেখ রাসেল হলে পাঠকক্ষ বৃদ্ধির দাবিতে ছাত্ররা বহুবার কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছে এবং কথা বলে যাচ্ছে। হলের সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বহুবার পাঠকক্ষ বৃদ্ধির দাবি তোলা হয়েছে কিন্তু এ সংকটের কোনো সুষ্ঠু সমাধান পাওয়া যায়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য হলের অবস্থাও ভিন্ন নয়। সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠের শিক্ষার্থীরা যদি সুষ্ঠু পড়ার পরিবেশ না পায় তাহলে জাতির কাক্সিক্ষত স্বপ্ন পূরণ সম্ভব নয়।
পড়াশোনার পরিবেশের অভাবে ছাত্ররা তাদের মেধা যথাযথভাবে কাজে লাগাতে পারছে না। তাদের মেধা যথাযথভাবে কাজে লাগাতে না পারার দায় কে নেবে? বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারে নতুন একাডেমিক বই আনার পাশাপাশি চাকরি পরিক্ষার বই সংযোগ করা ও হলের পাঠকক্ষগুলোর আয়তন বৃদ্ধিসহ আবাসন সংকট নিরসনে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও হল প্রশাসনসহ যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
-মিজানুর রহমান মিজান
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ।