'পাকা জামের মধুর রসে রঙিন করি মুখ'

সংগ্রাম অনলাইন ডেস্ক: জ্যৈষ্ঠ মাসকে বলা হয় মধুমাস! এ মাসে পাওয়া যায় আম, জাম, লিচু, কাঁঠাল, জামরুল, তালসহ নানা রসালো ফল। অবশ্য জ্যৈষ্ঠ মাস মাত্র শেষ হয়ে আজ আষাঢ় মাস শুরু হয়ে গেছে। এখনও মওসুমি ফল যথেষ্ট পাওয়া যাচ্ছে।
আয়রন সমৃদ্ধ কালো জাম হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ায়। ফলে রক্ত শরীরের অঙ্গগুলোতে আরও অক্সিজেন বহন করে এবং শরীর সুস্থ রাখে। এ ছাড়া রক্ত পরিশুদ্ধ করতেও জামের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে।
চোখ ও ত্বকও ভালো রাখে এই ফল। হার্ট সুস্থ রাখে পটাশিয়ামে ভরপুর কালো জাম, যা হার্টের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এই ফলটি উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ ও স্ট্রোকের মতো রোগব্যাধি প্রতিরোধ করে।
এর পাশাপাশি ধমনীও সুস্থ রাখে। মাড়ি ও দাঁত মজবুত করে কালো জাম মাড়ি ও দাঁতের জন্য অত্যন্ত উপকারী। জামগাছের পাতায় ব্যাকটেরিয়ারোধী গুণ রয়েছে। এটি মাড়ির রক্তপাত রোধ করতে ব্যবহার করা যেতে পারে। পাতা শুকিয়ে গুঁড়ো করে টুথ পাউডার হিসেবে ব্যবহার করলে উপকার মিলবে। এতে মাড়ির রক্তপাত এবং সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
সংক্রমণ প্রতিরোধ করে জামে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-ইনফেক্টিভ এবং অ্যান্টি-ম্যালেরিয়া গুণ রয়েছে। এ ছাড়া এই ফলে ম্যালিক অ্যাসিড, ট্যানিন, গ্যালিক অ্যাসিড, অক্সালিক অ্যাসিড ও বেটুলিক অ্যাসিড রয়েছে।
যে কারণে কালো জাম সংক্রমণ প্রতিরোধে অত্যন্ত কার্যকরি। ডায়াবেটিসের চিকিৎসা করে কালো জাম ডায়াবেটিসের বিভিন্ন লক্ষণ নিরাময় করতে পারে। এতে কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্স রয়েছে, যা রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিক রাখে। জামের বীজ, গাছের ছাল ও পাতা ডায়াবেটিসের চিকিৎসায় ব্যবহার করা যেতে পারে।