ওজন বাড়াতে চান? কি করবেন?
অধিকাংশ মানুষের ওজন এখন বাড়তির দিকে। এর পরও কিছু মানুষ আছেন যাঁরা ওজন বাড়ানোর কথা ভাবছেন। চারিদিকে এত ওবেসিটি বা শরীরে বাড়তি ওজনের ট্রেন্ড তার মধ্যে যে ওজন বাড়ানোরও প্রয়োজন থাকতে পারে তা অধিকাংশ মানুষ ভুলে যান। বয়স অনুপাতে ওজন হওয়া চাই। ওজন কম থাকলে রোগা রোগা লাগে। এমন অনেকেই আছেন যাঁরা একেবারে রোগা, লিকপিকে তাঁদেরকে মানুষ মশ্করা করতে ছাড়ে না। চেহারা নিয়ে মশকরা করা আমাদের অভ্যাসে এসে দাঁড়িয়েছে। বডি শেমিং ঘোরতর অন্যায় হলেও অধিকাংশ মানুষই বার বার এই ভুল করেন। প্রচুর রোগা মানুষও জিমে যান। তাঁদের ক্ষেত্রে আবার অন্য রকম প্রশ্ন ওঠে। সেখানেও মুখ্য বিষয় থাকে বডি শেমিং। ফলে ছেলে মেয়েরা বা রোগা লোকেরা হীনমন্যতায় ভোগে। তাদের ওজন বাড়ানোর প্রয়োজন দেখা দেয়। ওজন বাড়াতে কি করতে হবে? স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে। রোজ একটা করে কলা আর ডিমসেদ্ধ অবশ্যই খান। এছাড়াও ঘি, ভাত, আলুসেদ্ধ রোজ একবার করে খান, ঘি দিয়ে বানিয়ে চাল-ডালের খিচুড়ি খান। এতে সুস্থও থাকবেন ওজনও বাড়বে। ওজন বাড়াতে অনেকেরই বেশি ক্যালোরির খাবার খাওয়া হয়ে যায়। বিশেষজ্ঞরা দিচ্ছেন গুরুত্বপূর্ণ কিছু টিপস। এই নিয়ম মেনে খাবার খেলে ওজন বাড়বে স্বাস্থ্যকর পদ্ধতিতে আর শরীরও থাকবে সুস্থ। ভাতের সঙ্গে দই খেতে বলা হয়েছে আয়ুর্বেদে। মিষ্টি দই দিয়ে খেতে পারেন আবার টকদই এর সঙ্গে সামান্য নুন-চিনি মিশিয়েও ভাত খেতে পারেন। দই প্রোবায়োটিক আর তা শরীরে পুষ্টিরও যোগান দেয়। তরমুজের সঙ্গে একটু করে গুড় নিয়মিত খেলে ওজন বাড়ে। তরমুজের মধ্যে ফাইবার, প্রোটিন, চর্বি, কার্বোহাইড্রেট, পটাসিয়াম, ভিটামিন বি সবই থাকে প্রচুর পরিমাণে। তরমুজ খেলে শরীরে জলের চাহিদা পূরণ হয়। গুড়ের মধ্যে থাকে আয়রন, ম্যাগনেশয়াম ফলে শরীরে জোর বাড়ে, ক্লান্তি কমে। খেজুর আর দুধ একসঙ্গে খেলেও পেশীর শক্তি বাড়তে বাধ্য। খেজুরের মধ্যে খনিজ, ভিটামিন থাকে। দুধে থাকে ক্যালশিয়াম ফলে তা পেশীর শক্তি বাড়ায়। ওজন বাড়াতে রোজ দুধ, কলা মুড়ি যদি নিয়ম করে খান তাহলেও কিন্তু ওজন বাড়ে। তবে এসব খাওয়ার আগে অবশ্যই ডায়াটেশিয়ানের পরামর্শ নেবেন। তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।