ডিজিজ এক্স যথেষ্ট ভয়ঙ্কর

২৩ সেপ্টেম্বর, ডেইলি মেইল : বিশ্ব স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন ডিজিজ এক্স যথেষ্ট ভয়ঙ্কর। ব্রিটেন এবং বাকি বিশ্ব এখনও নতুন এ মহামারির প্রস্তুতির জন্য খুব কমই করেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে ডিজিজ এক্সের প্রতিরোধে আবারও টিকা তৈরি করতে হবে এবং রেকর্ড সময়ের মধ্যে তা সরবরাহ করতে হবে। কিন্তু, পরিস্থিতি যেমন দাঁড়াচ্ছে, তেমন কোনো নিশ্চয়তা নেই যে টিকা সরবরাহ করা যাবে।
অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ এবং ভ্যাকসিনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধী তৈরি করতে পারলেও বিজ্ঞানীরা বলছেন কোভিডের মত বিভিন্ন ভাইরাস নতুন রূপগুলিতে রূপান্তরিত হতে পারে যা আরও সংক্রামক এবং আমাদের ইমিউন সিস্টেমগুলি অকার্যকর করে দিতে পারে।
১৯১৮-১৯ সালের ফ্লু মহামারি বিশ্বব্যাপী কমপক্ষে ৫০ মিলিয়ন লোককে হত্যা করেছিল, প্রথম বিশ্বযুদ্ধের তুলনায় দ্বিগুণ মানুষ মারা গিয়েছিল। এখন বিদ্যমান অনেকগুলি ভাইরাসগুলির মধ্যে একটি থেকে একই রকম মৃত্যুর শঙ্কা করছেন বিজ্ঞানীরা।
প্রকৃতপক্ষে, সবচেয়ে বিপজ্জনক কিছু ভাইরাস - যেমন গুটিবসন্ত, হাম, ইবোলা এবং এইচআইভি-প্রাণীদের মধ্যে উদ্ভূত হয়েছিল এবং পরে মানুষের মধ্যে অত্যন্ত সংক্রমণযোগ্য হয়ে ওঠে। বিজ্ঞানীরা ২৫টি ভাইরাস সম্পর্কে বলছেন এদের প্রতিটিতে শত শত বা হাজার হাজার বিভিন্ন ভাইরাস রয়েছে, যার যে কোনো একটি মহামারি সৃষ্টি করতে পারে।
বিজ্ঞানীদের ধারণা এক মিলিয়নেরও বেশি অনাবিষ্কৃত ভাইরাস থাকতে পারে যা এক প্রজাতি থেকে অন্য প্রজাতিতে রূপান্তরিত, নাটকীয়ভাবে পরিবর্তিত হতে পারে এবং লাখ লাখ মানুষকে হত্যা করতে পারে। কারণ গত কয়েক দশক ধরে মহামারীর গতি দ্রুততর হয়েছে।
কোভিডে বিশ্বে ২০ মিলিয়ন বা তার বেশি মৃত্যুর কারণ হলেও এই ভাইরাসে আক্রান্তদের অধিকাংশই সুস্থ হয়ে উঠতে পেরেছে। অন্যদিকে, ইবোলায় মৃত্যুর হার প্রায় ৬৭ শতাংশ। বার্ড ফ্লু ৬০ শতাংশে এবং মারস ৩৪ শতাংশ আঘাত করেছে।