শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪
Online Edition

অপশক্তি তৎপর!

আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার দিনক্ষণ অত্যাসন্ন। বাস্তবতা হচ্ছে, নির্বাচনের তফশিল ঘোষণার আগেই রাজনৈতিক দলগুলোর ভাবমর্যাদা গড়ে ওঠে। অনেকটা বোঝাই যায়, কোন দলের বিজয় নিশ্চিত হতে পারে। এখন অত্যন্ত স্পর্শকাতর সময়। উল্লেখ্য, বিভিন্ন এলাকা থেকে খবর আসছে, একশ্রেণির মানুষ স্থানীয় নির্বাচনি এলাকায় হুমকি-ধমকি দিয়ে বেড়াচ্ছেন। তারা পুলিশ ও প্রশাসনের একশ্রেণির সদস্যের যোগসাজশে অর্থ পর্যন্ত ঢেলে নিজেদের অপকর্ম অব্যাহত রাখছেন। প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু সদস্য তাদের ইচ্ছানুযায়ী ওঠবস করছেন। এসব লোকের কারণেই যে, সংঘাতময় পরিবেশের সৃষ্টি হতে পারে তা নিয়ে দেশি এবং বিদেশি মহলেরও শঙ্কা বাড়ছে। এসব লোকের জন্যই নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়েছে বলে গ্রহণযোগ্যতা নাও পেতে পারে। কিন্তু যারা নানা ধরনের অনিয়ম, অনাচারের আশ্রয় নিচ্ছেন, তারা এটাকে আরও জটিল ও প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলতে সহায়তা করছেন। তারা মানুষের নামে মিথ্যা মামলা-মোকদ্দমা দিয়ে হয়রানি করবার অপচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। অভিযোগেরও একটি ন্যূনতম বা আংশিক সত্যতা থাকতে হয়। এরা সেসব বিষয় তোয়াক্কা করছেন না। অনেকটা হাওয়া থেকে  পাওয়া অভিযোগ এনে মানুষকে হয়রানিতে ফেলছেন। বলা হচ্ছে, অমুকের ছবি ছিঁড়েছে। কিন্তু বাস্তবে এসব যে উদ্দেশ্যমূলক ও ষড়যন্ত্রের অংশ তা সংশ্লিষ্টরা ভাবছেন না। তাদের এসব যেন ভাববার অবকাশ নেই। কারণ তাদের অনেকেই অর্থের মোহে বাঁধা পড়ছেন এবং ষড়যন্ত্রের অনিবার্য অংশে পরিণত হচ্ছেন। আরও জানা যায়, নির্বাচনের তফশিল ঘোষণার আগে সাধারণ মানুষ অনেকের বিরুদ্ধে বানোয়াট মামলা দেয়া এবং হয়রানি করবার প্রবণতা বেড়েছে। আর এ অপতৎপরতায় প্রশাসনের একশ্রেণির ব্যক্তি পূর্ণ সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছেন। শুধু তাই নয়, শাসকদলের নাম করে তারা নানা ধরনের গুজব, মিথ্যা প্রচারণা অব্যাহত রেখেছেন ডিজিটাল প্ল্যাটফরমেও। তাদের ছড়িয়ে দিতে চেষ্টা করা অসত্য প্রচারণা ও গুজবের বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সহায়তা না করে বরং ভাবমর্যাদা ক্ষুণœ করছেন। প্রকৃতপক্ষে দেশ ও জাতির ভালোমন্দে এদের কিছু যায়-আসে না, এরা নিজেদের স্বার্থ হাসিল করতে যেভাবে খুশি সেভাবে দলের নাম ব্যবহার করছেন।

গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে চাইলে এখনই এ অপশক্তির বিরুদ্ধে শক্ত হাতে ব্যবস্থাগ্রহণ করতে হবে। তা না হলে আস্থার সংকট থেকেই যাবে এবং নির্বাচন গ্রহণযোগ্য করে তোলা মুশকিল হয়ে পড়বে। নির্বাচনের তফশিল ঘোষণার পর কী পরিবেশ তৈরি হবে, অবস্থা কোনদিকে গড়াবে, তা আগাম কেউই বলতে পারে না; কিন্তু ভুয়া অভিযোগ, সে অভিযোগ গ্রহণ করা বন্ধ করতে হবে। প্রশাসনের যেসব স্থানীয় বিতর্কিত এবং অপকর্মে লিপ্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে সহযোগিতা করছেন, তাদের বিরুদ্ধে অতিসত্বর ব্যবস্থাগ্রহণ করা হোক। তাহলেই অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতার একটি অন্যতম স্তর এগিয়ে যাওয়া সম্ভব। বিষয়টি সবাইকে ভালো করে ভেবে দেখতে হবে। অন্যথায় নির্বাচন নিয়ে যে প্রশ্ন উঠছে তার নিরসন হবে না।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ