শনিবার ১৮ মে ২০২৪
Online Edition

সততার সঙ্গে কাজ করেছি ------জাহিদ আহসান রাসেল

 

স্পোর্টস রিপোর্টার: যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী হিসেবে বৃহস্পতিবার শেষ দিন ছিল জাহিদ আহসান রাসেলের। এদিন সন্ধ্যায় নতুন মন্ত্রী পরিষদের শপথ অনুষ্ঠান। নতুন মন্ত্রী পরিষদে জায়গা হয়নি গাজীপুরের এই সংসদ সদস্যের। মন্ত্রীত্বের শেষ দিনে বঙ্গবন্ধু ক্রীড়া কল্যাণসেবী ট্রাস্টের মাধ্যমে আর্থিক সহায়তা এবং জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার কমিটির সভা শেষে গণমাধ্যমে নিজের পাঁচ বছরের সাফল্য তুলে ধরে সুখস্মৃতির পাশাপাশি আক্ষেপের কথা বলেছেন তিনি।

গত পাঁচ বছরে তাকে সবচেয়ে বেশি তৃপ্তি দিয়েছে সাফ জেতা নারী দলের জন্য ছাদখোলা বাসের ব্যবস্থা করতে পেরে। ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, ‘সাফ ফুটবলে সাবিনারা চ্যাম্পিয়ন হয়ে ছাদখোলা বাস চেয়েছিল। সেটা এক দিনের মধ্যে তৈরি করে তাদের রাজসিক সংবর্ধনা দেয়া হয়েছিল। এই সাফল্যের সঙ্গে আমার সম্পৃক্ততা এবং দেশের সবার মধ্যে আলোড়ন তৈরি হয়েছিল। এই দিনটি আমার কাছে বিশেষ স্মরণীয়।’

মন্ত্রী পরিষদের ৩৬ জন সদস্যের মধ্যে বিদায়ী ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর আপাতত না থাকা এবং সামনে থাকার সম্ভাবনা নিয়ে তিনি বলেছেন, ‘মন্ত্রীসভা গঠনের সম্পূর্ণ এখতিয়ার মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর। তিনি আমার ওপর পাঁচ বছর আস্থা রেখেছেন সেজন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। আমাকে দলীয় মনোনয়ন দিয়েছেন। জনগণের ভোটে আমি খুব অল্প বয়সে চার বার এমপি হয়েছি। মন্ত্রীত্বের বিষয়টি সম্পূর্ণ মাননীয় প্রধানন্ত্রীর ওপর।’ তবে নতুন যিনি আসবেন তাকে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন রাসেল, ‘ক্রীড়া আমার প্রাণ। মন্ত্রণালয়ে যিনিই আসুন আমার সহযোগিতা চাইলে অবশ্যই আমি সহযোগিতা করবো। তিনি যদি নাও চান, আমি যেচে গিয়েও দেবো। ক্রীড়াঙ্গনের উন্নয়ন আমার প্রত্যাশা।’

নিজের উন্নয়নমূলক কাজের ফিরিস্তি তুলে ধরে রাসেল বলেছেন, ‘সবকিছু ছাপিয়ে চেষ্টা করেছি সফল মন্ত্রণালয় করার। শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামের জন্য সারে ১৬০০ কোটি টাকা বরাদ্দ এনেছি। বঙ্গবন্ধু ক্রীড়াসেবী ফাউন্ডেশনের তহবিল ১৭ কোটি থেকে এখন এখন ৭৭ কোটি টাকায় এনেছি। খেলাধুলায় ভালো কিছু অর্জন হয়েছে। সাফ ও এশিয়া কাপ জেতা হয়েছে। প্রাথমিক স্কুল থেকে হাই স্কুল ও আন্তঃকলেজ পর্যায়ে ক্রীড়া চালু হয়েছে। সব সেক্টরে খেলা ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে। সব পর্যায়ে খেলার সুযোগ হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলোয়াড় কোটাও চালু হয়েছে।’ সাফল্যের পাশাপাশি আক্ষেপও ঝরেছে বিদায়ী ক্রীড়াপ্রতিমন্ত্রীর, ‘ট্রেনিং খাতে বরাদ্দ অনেক বাড়ানোর চিন্তা ছিল। তবে নানান কারণে বেশি করা যায়নি। করোনা ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে অর্থ মন্ত্রণালয় বেশি বরাদ্দ বাড়ায়নি। অলিম্পিক ভিলেজে করা যায়নি। আসলে করোনা ও যুদ্ধের কারণে সব সময় কাজ করা হয়নি। আর আমি সততার সঙ্গে কাজ করেছি। খারাপ কিছু করিনি। অন্যায়ের সঙ্গে জড়াইনি।’

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ