রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

আ’লীগ যত দ্রুত বিদায় নেবে ততই ভালো --------ড. মঈন খান

গতকাল শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে জাতীয়তাবাদী নবীনদল কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান -সংগ্রাম

স্টাফ রিপোর্টার : আওয়ামী লীগ যত দ্রুত বিদায় নেবে ততই ভালো বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান। তিনি বলেন, সরকারের অন্যায় মেনে নেয় না বলেই দেশের ১৮ কোটি মানুষ বিএনপিকে সমর্থন করে। ভোট না দিয়ে দেশের মানুষ প্রমাণ করেছে তারা আর আওয়ামী লীগকে চায় না। গতকাল শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে জাতীয়তাবাদী নবীন দল কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সুস্বাস্থ্য কামনায় দোয়া ও ইফতার মাহফিলে তিনি এ মন্তব্য করেন। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা জয়নুল আবেদীন ফারুক।

ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করতে সরকার দেশের মানুষের মধ্যে বিভাজন তৈরি করেছে, দেশে বাকশাল টু কায়েম করেছে। যে আওয়ামী লীগ মানুষের অধিকার হরণ করে, তারা কিভাবে মুক্তিযুদ্ধের শক্তি হতে পারে- এমন প্রশ্ন রাখেন মঈন খান।

এ সময় মঈন খান আরো বলেন, বাংলাদেশের মানুষ আজ বাজারে গিয়ে সামান্য জিনিসপত্র কিনতে পারে না। প্রত্যেকটি জিনিসের দাম আকাশচুম্বী। কারণ মানুষের পকেট শূন্য। 

আজ গণতন্ত্র হরণ করে সরকার অলিগার সৃষ্টি করেছে। সরকারের আশপাশের লোকজন সব কিছু লুটপাট করেছে। তিনি বলেন, দেশের ১৮ কোটি মানুষ, তারা তো বিত্ত-বৈভব চায় না। তারা চায় কথা বলার স্বাধীনতা। সরকার বন্দুক ও গায়ের জোরে ক্ষমতায় আছে। এই প্রক্রিয়ায় থাকায় কোনো গৌরব নেই। এটা সরকারকে উপলব্ধি করতে হবে। বাংলাদেশের মানুষ সত্যের আন্দোলনে ঐক্যবদ্ধ জানিয়ে তিনি বলেন, গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার আন্দোলনে দেশের কোটি কোটি মানুষ ঐক্যবদ্ধ। গায়ের জোরে ক্ষমতায় থেকে সরকার কোনো দিন জনগণের ভালোবাসা পাবে না। পৃথিবীর ইতিহাসে স্বৈরাচারী-অত্যাচারী সরকার অনেক এসেছে, তারা আবার চলে গেছে জানিয়ে মঈন খান বলেন, কেউ হয়তো স্বল্প, আবার কেউ হয়তো দীর্ঘমেয়াদে অন্যায় কাজগুলো করে থাকে। কিন্তু মানুষের যে আকাঙ্খা ন্যায়-সত্য, তার কাছে কোনো দিন অন্যায় টিকতে পারে না। আওয়ামী লীগকে জনগণের কাছে নতি স্বীকার করে, মাথা নত করে সরে যেতে হবে এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের ভয় পাওয়ার কিছু নেই। তারা এতো আতঙ্কিত কেন? এই সত্য তাদেরকে বলতে হবে, মানুষের ভালোবাসা ছাড়া রাজনীতির কোনো অর্থ নেই। তারা যেটা করছে সেটা রাজনীতি নয়। তারা বন্দুক ও ক্ষমতার জোরে মানুষের ওপরে খবরদারি করে যাচ্ছে। এটার নাম রাজনীতি নয়। তাদেরকে শান্তিপূর্ণ ও সহাবস্থানের রাজনীতিতে আজ হোক আর কাল হোক ফিরে আসতেই হবে। সরকার যত দ্রুত এটি উপলব্ধি করবে সেটি সরকারের ততো মঙ্গল হবে।

জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, বাংলাদেশের ৯ কোটি ভোটার শহীদ জিয়ার আদর্শে বিশ্বাসী। আর সে কারণেই আওয়ামী লীগ বিএনপিকে এতো ভয় পায়। সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে ভয় পায়।

অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন চলবে ডামি সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত

খুলনা ব্যুরো : বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন চলছে এবং ডামি সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত চলবে। যারা  জোর করে ক্ষমতায় আছেন, দেশের জনগণ এই ডামি সরকারকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। জনগনের সেবা নয়, ক্ষমতায় টিকে থাকা বর্তমান সরকারে একমাত্র লক্ষ্য। দেশে কোনো নির্বাচনী ব্যবস্থা নেই, সব ধ্বংস করে দিয়েছে। শুধু রাজনীতি নয়, সমাজের সবকিছু গ্রাস করছে সরকার। ক্ষমতা হারানোর ভয়ে ভীত তারা। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও ভোটের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে গুম-খুনের শিকার, কারা নির্যাতিত দলীয় নেতা-কর্মী এবং তাদের পরিবারের সম্মানার্থে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি খুলনা মহানগরীর উদ্যোগে খুলনা প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।

শান্তিপূর্ণভাবে সরকারকে ক্ষমতা থেকে বিদায় নেয়ার আহ্বান জানিয়ে ড. মঈন খান আরো বলেন, বিএনপি জনগণকে গণতন্ত্র, ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে চায়। শান্তিপূর্ণ আন্দোলন ততদিন চলবে- যতদিন না সরকার বিদায় নেবে। অনুষ্ঠানে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চ্যুয়াল অংশগ্রহণ করেন। তিনি যুবনেতা শহীদ মিজানের পরিবারকে একটি ইজিবাইক প্রদান করেন। ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠানে যারা তাঁবেদার সরকারের হাতে খুন-গুমের শিকার হয়েছেন তাদের স্মরণ করা হয়। আলোচনা শেষে নিহতদের আত্মার শান্তি ও আহতদের সুস্থতাসহ দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় বিশেষ দোয়া করা হয়।

বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এডভোকেট এস এম শফিকুল আলম মনার সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিনের পরিচালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক বাবু জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমীর এজাজ খান, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পী, সাবেক সংসদ সদস্য শেখ মুজিবুর রহমান, সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দা নার্গিস আলী, ইঞ্জি. আকরাম হোসেন তালিম, মোজাফ্ফর আলমসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, সাংবাদিক, আইনজীবী, চিকিৎসক ও দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ