সোমবার ১৩ জানুয়ারি ২০২৫
Online Edition

দুই গডফাদারের দ্বন্দ্ব সাপের কামড়েই ওঝার মৃত্যু

আসিফ আরসালান

কথায় বলে ওঝা নাকি সাপের কামড়েই মারা যায়। কথাটি মনে পড়ল ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজীম আনারের নির্মম হত্যাকা-ের কাহিনী পড়ে। বহুল পঠিত উপন্যাস গডফাদার আপনাদের অনেকেই পড়েছেন। বইটি লিখেছেন মারিও পুজো। এই উপন্যাস অবলম্বনে সিনেমাও হয়েছে। নাম ভূমিকায় ছিলেন দুনিয়া কাঁপানো নায়ক মার্লোন ব্রান্ডো। ছবি এবং কাহিনীতে দেখা গেছে যে, গডফাদার হলো একটি শক্তিশালী গ্যাংস্টারের সর্দার। এই গ্যাংস্টার মাঝে মাঝে এত ক্ষমতাশীল হয়ে ওঠে যে, অনেক সময় তারা দেশের সরকারকেও ডিক্টেট করে। আবার এদের মধ্যে যখন উপদলীয় কোন্দল শুরু হয় তখন এক উপদলের নেতা বা সরদার অন্য উপদলের নেতা বা সরদারের হাতে মারা পড়ে। গডফাদার উপন্যাসেও দেখা গেছে, ওদের ভাষায় ‘বিশ^াসঘাতকদেরকে’ একে একে হত্যা করে প্রতিদ্বন্দ্বী দলকে শারীরিকভাবে নিশ্চিহ্ন করা হয়েছে। 

বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ দলীয় এমপি আনোয়ারুল আজীম আনারের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনাকারী এবং হুকুমদাতা হলেন আক্তারুজ্জামান শাহীন। তিনিই হলেন এই সমগ্র নারকীয় কা-ের মাস্টারমাইন্ড। এমপি আজীম হত্যাকা-ের পরিকল্পনা কেমন করে হয়, কিভাবে সেটি কার্যকর হয় সেটি হুবহু বর্ণনা করা হয়েছে ২৩ মে ২০২৪ এর দৈনিক সমকালের প্রধান সংবাদে। সংবাদটির শিরোনাম, ‘বন্ধুর ছকে এমপি আজীম খুন’। আমরা সংবাদটির বিস্তারিত বর্ণনায় যাবো না। তবে দৈনিক সমকালে যে রিপোর্টটি প্রকাশিত হয়েছে সেটি পড়ে মনে হয় রিপোর্টার সিনেমার প্রতিটি দৃশ্য দেখার মতো করে বর্ণনা করেছেন। আমরা ঐ রিপোর্টের সারমর্ম নিচে তুলে ধরছি। 

(১) ১২ মে দর্শনা চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে যান এমপি আজীম। (২) ১৩ মে কলকাতার এক ফ্ল্যাটে খুন। (৩) পরিকল্পিত কিলিং মিশনে বাংলাদেশ ও ভারতের ছয়জন। (৪) এখনও মেলেনি লাশ, টুকরো টুকরো করে চার ব্যাগে গায়েব। (৫) কলকাতার ফ্ল্যাটে রক্তের দাগ, ডিএনএ পরীক্ষায় নিশ্চিত হবে পরিচয়। (৬) মূল পরিকল্পনাকারী শাহজালাল বিমানবন্দর হয়ে পালিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে, প্রাডো গাড়ি জব্দ। 

আরেকটি খবরের শিরোনাম, ‘মাস্টারমাইন্ড শাহিনের অগাধ বিত্ত ঘিরে রহস্য’। আমরা আর বিস্তারিত বিবরণে গেলাম না। ২৩ মের দৈনিক প্রথম আলো, ডেইলি স্টার প্রভৃতি সমস্ত পত্রিকায় এই নির্মম হত্যাকা-ের খবর ফলাও করে ছাপা হয়েছে। এসব খবর থেকে একটি বিষয় পরিষ্কার হয়েছে যে, এমপি আজীম এবং মাস্টারমাইন্ড শাহীন উভয়েই ঝিনাইদহ এবং সীমান্ত সন্নিহিত অঞ্চলের গডফাদার। অনেকেই এই দু’জনকে ঐ গ্যাংস্টারের ডন বলেও চিহ্নিত করেছে। এই গ্যাংস্টারের দুই ডনের কাজ ছিল স্বর্ণ চোরাচালান, মাদক ব্যবসা এবং কোনো কোনো পত্রিকার খবর মোতাবেক নারী ব্যবসা। ঐসব রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, এসব অসামাজিক কাজ করে আজীম এবং শাহীন উভয়েই কোটি কোটি টাকার পাহাড় গড়েছেন। কিন্তু এসব ক্ষেত্রে যা হয় আজীমের ভাগ্যেও তাই ঘটেছে। গ্যাংস্টারদের মধ্যে আধিপত্য বা সম্পদ অর্জন নিয়ে মতদ্বৈধতা শুরু হয়। সেই মতদ্বৈধতা অবশেষে যে কোনো একটি গ্রুপকে নির্মূল করার পরিণতি বহন করে। 

২৩ মে দৈনিক প্রথম আলোর প্রথম পৃষ্ঠায় ডাবল কলামব্যাপী প্রকাশিত অপর একটি খবরের শিরোনাম, ‘চোরাচালান নিয়ে দ্বন্দ্ব, খুনের পরিকল্পনা এক মাস আগে’।

দৈনিক প্রথম আলো ঐ খবরের সাথেই আরেকটি খবর প্রথম পৃষ্ঠায় প্রকাশ করেছে। শিরোনাম, ‘অনেক অভিযোগ, তবু বারবার এমপি’। খবরে বলা হয়েছে, আনোয়ারুল আজীমকে ধরিয়ে দিতে ২০০৭ সালে পুলিশের আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড নোটিশ জারি করেছিল বাংলাদেশ পুলিশ। তার বিরুদ্ধে দেশের আদালতেও তখন গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছিল। এরপরও তিনি পলাতক থাকায় ২০০৮ সালে চুয়াডাঙ্গার একটি বিশেষ ট্রাইব্যুনাল সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে তাকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম গত ৭ জানুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন কমিশনে যে হলফনামা জমা দেন, তাতে তিনি নিজের বিরুদ্ধে ২১টি মামলা থাকার কথা উল্লেখ করেন। তবে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে মামলাগুলোর কোনোটিতে খালাস, কোনোটিতে অব্যাহতি পান তিনি, সে বিষয়টিও হলফনামায় তুলে ধরেন।

॥ দুই ॥

খবরে আরো বলা হয়েছে, আনোয়ারুল আজীমের বিরুদ্ধে এমন নানা অভিযোগের মধ্যে তিনি কীভাবে তিন দফায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন; তাকে দেশের অন্যতম একটি প্রধান দল আওয়ামী লীগই-বা কীভাবে মনোনয়ন দিয়ে আসছে, এখন এসব প্রশ্ন সামনে এসেছে। সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, দলের দুর্বলতা আছে বলেই ২১টি মামলা থাকার পরও আনোয়ারুল আজীমকে বারবার মনোনয়ন দিতে হয়েছে। এটিই এখন সচেতন জনগণের মনে জ্বলন্ত জিজ্ঞাসা হয়ে ঘোরাফেরা করছে। মনে হয় সরকারও বুঝতে পেরেছে যে, জনগণ নিজেদের মধ্যে ঘুরে ফিরে এ প্রশ্ন করছে। এই প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের জেনারেল সেক্রেটারি এবং সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন সেটি সুধী সমাজে গ্রহণযোগ্য হয়নি। 

ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তিনি কী ছিলেন, সেটা বড় কথা নয়। তার জনপ্রিয়তা দেখেই দল তাকে মনোনয়ন দিয়েছে। আওয়ামী লীগের সভায় সাংবাদিকেরা আজীমের প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদেরকে লিখিত প্রশ্ন দেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সংসদ সদস্য কলকাতায় মারা গেছেন। তাকে হত্যা করা হয়েছে। তদন্ত শেষ হওয়ার আগে আমরা কিছু বলতে পারব না। তবে তিনি আওয়ামী লীগের এমপি। সে কী ছিল, সেটা বড় কথা নয়। সে যে এলাকার প্রতিনিধিত্ব করে, সেই এলাকায় গিয়ে দেখুন, তার জন্য শোকার্ত মানুষের হাহাকার। সে প্রতিনিয়ত কোনো গাড়ি নয়, মোটরসাইকেলে করে সারা এলাকা ঘুরত। তাকে আমরা তৃতীয়বার মনোনয়ন দিয়েছি জনপ্রিয়তা দেখে। এখন সে ভেতরে কোনো অপকর্ম করে কি না... এসব যখনই প্রমাণিত হয়, প্রধানমন্ত্রী কিন্তু জিরো টলারেন্স। অন্যায়কারী, অপরাধী দলের লোক হলেও তিনি ছাড় দেন না।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আপনারা এখন বলছেন, কলকাতায় তাকে চোরাকারবারি বলছে। আমি সাংবাদিকদের বলব, আপনারা কি তিন-তিনবার জাতীয় সংসদের এমপি নির্বাচিত হয়েছেন তিনি, তখন কি আপনারা এটা পেয়েছেন? এখন ভারতীয় সাংবাদিকেরা কোন তথ্য আনল, সেটার উদ্ধৃতি দিচ্ছেন। আপনারা তো এই দেশের নাগরিক, সে যদি অপরাধী হয়, সেই অপরাধটা আপনাদের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে কেন এল না?’

আমরা একটু আগেই বলেছি যে, জনাব ওবায়দুল কাদেরের এই ব্যাখ্যা মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। বলা হয়েছে যে, তিনি তিন তিনবার এমপি হয়েছেন। এই তিন তিনবার কোন ধরনের নির্বাচন হয়েছে? এই তিন তিনবারের প্রথমবার হলো বিএনপি এবং বিরোধী দলসমূহের নির্বাচন বর্জন। ১৫৩ জন এমপি বিনা ভোটে নির্বাচিত। দ্বিতীয়বার ২০১৮ সাল। দিনের ভোট রাতে অনুষ্ঠান। আর তৃতীয়বার সদ্যসমাপ্ত ৭ জানুয়ারির নির্বাচন, যে নির্বাচনে ৫ শতাংশের ওপর মানুষ ভোট দেয়নি। যে নির্বাচন ৯৫ শতাংশ মানুষ বর্জন করেছে। সেই ধরনের তিনটি চরম বিতর্কিত নির্বাচনে তিনি এমপি হয়েছিলেন। তিনি কি ইলেক্টেড হয়েছিলেন? নাকি সিলেক্টেড হয়েছিলেন? এসম্পর্কে আর বেশি কিছু বলার প্রয়োজন পড়ে না। মানুষ যা বোঝার বুঝে গেছেন। 

॥ তিন ॥

আনোয়ারুল আজীম মারা গেছেন। এখন তার অতীত নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি না করাটাই শোভন। কিন্তু হত্যা রহস্যের জট খুলতে কেঁচো খুঁড়তে সাপ বেরোনোর মত অবস্থা। গত ২৩ মে একাধিক পত্রিকায় আনোয়ারুল আজীমের অতীত সম্পর্কে যেসব খবর বেরিয়েছে তার একটি বিবরণ একটি বাংলা দৈনিক থেকে নীচে হুবহু উদ্ধৃত করছি। রিপোর্টে বলা হয়েছে, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রগুলো বলছে, এক সময়ের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের চরমপন্থিদের নিয়ন্ত্রণ করতেন আনার। অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য পাচারের হোতা হিসেবেও পুলিশের খাতায় নাম ছিল তার। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে দীর্ঘদিন ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী ও চরমপন্থিদের গডফাদার হিসেবে পরিচিতি পান। আনারের বিরুদ্ধে অস্ত্র, বিস্ফোরক, মাদকদ্রব্য ও স্বর্ণ চোরাচালান, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, দখলবাজি এবং চরমপন্থিদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে ৯টির বেশি মামলা ছিল। ইন্টারপোলের ওয়ান্টেড আসামী হিসেবে পুলিশ একবার তাকে আটক করলেও তার ক্যাডাররা পুলিশের ওপর আক্রমণ করে তাকে ছিনিয়ে নিয়েছিল। ওই ঘটনায় তার বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে। চারদলীয় জোট সরকারের আমলে যৌথ বাহিনীর অপারেশনের সময় আত্মগোপনে ছিলেন আনার। 

ঝিনাইদহের রাজনৈতিক কর্মীদের সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮৬ সালের দিকে জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় থাকাকালে আনার মাদক কারবারে জড়িয়ে পড়েন। ভারতের বাগদা সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশের বাঘাভাঙ্গা সীমান্ত পথে চোরাচালান করতেন তিনি। ওই সময় কালীগঞ্জ থানাসহ মহেশপুর, কোটচাঁদপুর ও চুয়াডাঙ্গার জীবননগর থানা পুলিশের সঙ্গে মাসিক চুক্তিতে ‘টোকেন’ তৈরি করে তার বাহিনী। ওই টোকেন দেখালেই প্রশাসনের লোকজন মাদকদ্রব্য বহনকারী গাড়ি ছেড়ে দিত। এই টোকেন বাণিজ্য থেকে আনার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ‘মাদক সম্রাট’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। এই মাদক কারবারের মাধ্যমে বিপুল অর্থবিত্তের মালিকও বনে যান। ১৯৯১ সালে আনার ঝিনাইদহের আরেক চোরাকারবারি পরিতোষ ঠাকুরের সঙ্গে মিলে স্বর্ণ চোরাচালানের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। স্বর্ণের বড় বড় চালান রাজধানী থেকে বাঘাডাঙ্গা সীমান্ত দিয়ে প্রতিবেশী দেশে পাচার করতেন তারা। ১৯৯৬ সালে আনার ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগে যোগ দেন। মাদক ও স্বর্ণ চোরাচালানের কারবারের সঙ্গে কালীগঞ্জ পৌরসভার এক কমিশনারের হাত ধরে অস্ত্র চোরাকারবারে জড়ান তিনি। তার অবৈধ অস্ত্রের চালান চরমপন্থি ক্যাডার সামসেল ওরফে রবিনের কাছে বিক্রি হতো। কথিত আছে, সরকারের পুরস্কার ঘোষিত শীর্ষ সন্ত্রাসী প্রকাশ ভারতে আত্মগোপন করার পর তার মাধ্যমে অস্ত্র চোরাকারবার চালিয়ে যান আনার। বাগদা এলাকার মাদক সম্রাট জয়ন্ত কুমার, কার্তিক, গৌতম সাহা ও বনগাঁর দেবদাসের সঙ্গে আনারের মাদকের কারবার ছিল। সূত্র জানায়, ২০০৭ সালে চুয়াডাঙ্গার লোকনাথপুর এলাকা থেকে ১২ কেজি ৯৫০ গ্রাম স্বর্ণ আটক করে তৎকালীন সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিডিআর। চোরাকারবারিরা নিশ্চিত হয় যে, দর্শনা শ্যামপুরের সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম স্বর্ণগুলো ধরিয়ে দিয়েছে। ওই ঘটনায় টার্গেট কিলিংয়ের শিকার হন সাইফুল। তিনি নিজেও স্বর্ণ চোরাকারবারিদের সিন্ডিকেটে যুক্ত ছিলেন। ওই হত্যা মামলায় আনারসহ আসামী করা হয় ২৫ জনকে। কুষ্টিয়ার চরমপন্থি নেতা মুকুল, শাহীন, রুমী, ঝিনাইদহের চোরাকারবারি পরিতোষ ঠাকুর, আনারসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে পরের বছর আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। ২০১২ সালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুপারিশে রাজনৈতিক বিবেচনায় পরিতোষ, আনারসহ বেশ কয়েকজন মামলা থেকে অব্যাহতি পান। এ মামলায় আনারকে গ্রেপ্তারে ২০০৯ সালে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছিলেন চুয়াডাঙ্গার বিশেষ আদালত। এর দশ দিন পর ওই বছরের ২১ জানুয়ারি তাকে গ্রেপ্তারের জন্য নিশ্চিন্তপুর গ্রামে তার বাড়িতে অভিযান চালায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তবে তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। উপজেলা আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা জানান, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে ধীরে ধীরে আনারের বিরুদ্ধে থাকা মামলাগুলো কমে যেতে শুরু করে।

শেষ করতে চাই একথা বলে যে, আনোয়ারুল আজীম এমপি অপরাধী ছিলেন কিনা সেটা বিচার করবে আদালত। কিন্তু তাই বলে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার অধিকার কারোর নেই। আক্তারুজ্জামান শাহীন আইন নিজের হাতে তুলে নিয়েছিলেন। আইন মোতাবেক তার বিচার এবং শাস্তি হওয়া প্রয়োজন। 

Email: [email protected]

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ

string(11) "18.97.14.89"