রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

মওদুদ আহমদের বিরুদ্ধে করা আয়কর ফাঁকির মামলা কেন বেআইনী নয়

স্টাফ রিপোর্টার : সাবেক আইনমন্ত্রী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের বিরুদ্ধে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) দায়ের করা আয়কর ফাঁকির মামলা কেন অবৈধ ও বেআইনী ঘোষণা করা হবে না-জানতে চেয়ে রুলনিশি জারি করেছেন হাইকোর্ট। আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে এনবিআরের চেয়ারম্যানসহ ছয়জনকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

মওদুদ আহমদের দায়ের করা রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন। গত ১ ফেব্রুয়ারি রিট আবেদনটি দায়ের করা হয়।

রিট আবেদনে মওদুদ আহমদের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক উল হক ও এডভোকেট আহসানুল করীম। এ সময় সুপ্রিমকোর্ট বার এসোসিয়েশনের সভাপতি ও সিনিয়র আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন উপস্থিত ছিলেন। সরকার পক্ষে ছিলেন এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি এটর্নি জেনারেল আল আমিন সরকার।

এ মামলায় গত ১৬ জানুয়ারি বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি শহিদুল করিম সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের দু'মাসের আগাম অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করেন। ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতে বিচারাধীন আয়কর ফাঁকি মামলায় গতকাল মঙ্গলবার শুনানির দিন ধার্য ছিলো। মওদুদ আহমদের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত শুনানি পিছিয়ে আগামী ২০ মার্চ পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন।

এনবিআরের উপ-কর কমিশনার শাহ মোহাম্মদ ইত্তেদা হাসান গত ১৫ জানুয়ারি বাদী হয়ে ১৯৯৬-'৯৭ এবং ১৯৯৯-২০০৬ করবর্ষে ২৭ কোটি ৬৮ লাখ ৮১ হাজার ৭৮ টাকা আয়ের তথ্য গোপন করে ৬ কোটি ৮৫ লাখ ৬০ হাজার ৮৪৫ টাকা কর ফাঁকির অভিযোগে ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। ওইদিন আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ৭ ফেব্রুয়ারি ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদকে হাজির হতে সমন জারি করেন। এর আগে জরুরি সরকারের আমলে ২০০৮ সালের ৩১ আগস্ট এনবিআরের সহকারী কর কমিশনার হাফিজ আল আসাদ বাদী হয়ে একই অভিযোগে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। ১৯৯৬ সালের ১ জুলাই থেকে ২০০৬ সাল ৩০ জুন পর্যন্ত করবর্ষে আয়কর ফাঁকির অভিযোগ করা হয়েছে ওই মামলায়। একই বছরের ৮ সেপ্টেম্বর বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি মামনুন রহমান সমন্বয়ে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চ মামলাটির কার্যক্রম স্থগিত করেছিলেন।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ