বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪
Online Edition

রোহিঙ্গাদের জন্য আসলে কতটুকু করছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়?

 

বিবিসি : মিয়ানমার থেকে প্রাণভয়ে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের যে ঢল নেমেছে বাংলাদেশে গত ২৫শে অগাস্ট থেকে সেটি এখন আন্তর্জাতিক বিশ্বে বড় খবরগুলোর একটি।

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে কয়েক দফা আলোচিত হয়েছে এবং সংস্থাটি বলেছে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি হলো বিশ্বের দ্রুত বর্ধনশীল শরণার্থী সংকট।

তারা এটিকে জাতিগত নিধনের একটি উদাহরণ হিসেবেও উল্লেখ করেছে।

জাতিসংঘের হিসেবে এ পর্যন্ত ৫ লাখ ৩৭ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসেছে যার মধ্যে ৫৮ শতাংশ শিশু আর প্রাপ্তবযস্কদের মধ্যে ৬০শতাংশই নারী।

বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গাদের জন্য নতুন করে আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছে বাংলাদেশ।

আশ্রয় কেন্দ্রের বাইরে কক্সবাজার ও বান্দরবানের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নিয়েছে হাজার হাজার রোহিঙ্গা।

জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা পরিস্থিতির ভয়াবহতা বারবার তুলে ধরেছে গণমাধ্যমে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানিয়েছে দ্রুত এগিয়ে আসার জন্য।

কিন্তু কি কি প্রয়োজন রোহিঙ্গাদের? কি বলছে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো? কি এসেছে? কি বলছে আন্তর্জাতিক বিশ্ব?

আগামী ৬ মাসে প্রয়োজন হবে জাতিসংঘের মানবিক সাহায্য নিশ্চিত করতে প্রয়োজন ৪৩৪ মিলিয়ন ডলার।

৯ লাখ ডোজ কলেরা টিকা দেয়ার কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ।

অন্তত ১০ হাজার টয়লেট তৈরি করবে বাংলাদেশ সেনাবাহিন।

 বাংলাদেশকে আরও আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ করতে হবে।

পাঁচশ টন সাহায্য এসেছে পাঁচটি বিশেষ বিমানে।

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ বারবার রোহিঙ্গাদের ওপর চরম নিষ্ঠুরতা বন্ধের দাবি জানিয়েছে কিন্তু কোন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেনি।

যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমারের সেনাবাহিনীকে আইনের শাসনের প্রতি সম্মান জানাতে বলেছে যাতে সহিংসতা ও মানুষের বাস্তুচ্যুত হওয়া বন্ধ হয়।

চীন বলেছে জাতীয় উন্নয়নের জন্য স্থিতিশীলতা রক্ষায় মিয়ানমার যে প্রচেষ্টা নিয়েছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত তাতে সমর্থন দেয়া।

যুক্তরাজ্যের দুর্যোগ বিষয়ক জরুরী কমিটি শরণার্থীদের জন্য তহবিল গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী রাখাইনে সামরিক অভিযান বন্ধ করতে বলেছেন। যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমার সেনাবাহিনীর জন্য একটি প্রশিক্ষণ কর্মসূচি বাতিল করেছে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ