লালমনিরহাটে সড়ক সংস্কার কাজে অনিয়মের অভিযোগ
লালমনিরহাট সংবাদদাতা: আঞ্চলিক সড়ক সংস্কারে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। চলতি অর্থবছরে স্থানীয় সরকার উপজেলা প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি) আওতাধীন লালমনিরহাট সদর উপজেলা হারাটি ইউনিয়নের মহেন্দ্রনগর থেকে ফড়িংদীঘি সংযোগ সড়কটি ২.০৩৫ কিলোমিটার (২০৩৫ মিটার)। যা সংস্কারের কাজ স্থানীয় এক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে শুরু করা হয়। যাতে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৩৭ লক্ষ টাকা।
সিডিউল অনুযায়ী, পুরান সড়কটির কার্পেটিং পিচ তুলে ফেলে নতুন ভাবে বালু, খোয়া দিয়ে পুরো সড়কটি সংস্কার কথা থাকলেও তা মানা হয়নি। সড়কটি সংস্কারে তদারকির দায়িত্বে থাকা ওই অফিসের সহকারী ইঞ্জিঃ জাহিদুল ইসলাম এর উপস্থিতিতে নিম্নমানের বিটুমিন, পুরাতন কার্পেটিং পিচ না তুলে, পুরাতন কার্পেটিং-এর ওপর কার্পেটি করা হয়েছে। ভাঙ্গাচুরা সড়কে ব্যবহার করা হয়নি বালু, খোয়া। ফলে সড়ক সংস্কারের ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। আর এ কাজের প্রত্যক্ষভাবে সহযোগীতা করেছেন সদর উপজেলা প্রকৌশলী মোখলেছুর রহমান। এমন নিম্নমানের কাজ সরকারের অবকাঠামোগত উন্নয়নের ধারাবাহিকতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। যা সরেজমিনে তদন্ত করলে প্রমান পাওয়া যাবে মাত্র ২.০৩৫ কিলোমিটার সড়ক সংস্কারে কি পরিমান অনিয়ম হয়েছে।
এলাকাবাসী মহাসিন আলী (৪০), জাহাঙ্গীর (৪৫) ও আঃ হালিম জানান, সড়ক সংস্কার কাজ নিয়ম বর্হিভুত ভাবে কার্পেটিং ওপর কার্পেটিং করায় সড়ক টিকপে ক'দিন। নিম্নমানের বিটুমিন, পুরাতন কার্পেটিং পিচ না তুলে ফেলে কার্পেটিং’র ওপর কার্পেটি করায় কাজ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছন।
এই কাজের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী বলেন, ‘আমাদের কাজের কোনো গাফিলতি হয়নি। সিডিউল অনুয়ায়ী পুরান পিচ তুলে না ফেলে কার্পেটিং ওপর কার্পেটি করার বিষয়টি সদর উপজেলা প্রকৗশলী মোখলেছুর রহমান ভাল জানেন।
এ বিষয়ে সদর উপজেলা প্রকৌশলী মোখলেছুর রহমান জানান, ঈদকে ঘিরে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের বিল প্রদানে ব্যস্ত তাই তিনি এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জয়শ্রী রানী রায় বলেন, মহেন্দ্রনগর থেকে ফড়িংদীঘি সংযোগ সড়কটি সংস্কারে অনিয়মের বিষয় শুনেছি। ইঞ্জিনিয়ারকে সিডিউল অনুয়ায়ী কাজ করার পরার্মশ দিয়েছি।