দেশের ২০ জেলায় যোগান দিচ্ছে ঝিনাইদহের কাঁচা মরিচ

ঝিনাইদহে কাঁচা মরিচের হাট বসছে প্রতিদিন। ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত পাইকারী কেনা বেচা চলে এ হাটে। পাইকাররা ১৫ থেকে ২০ ট্রাক কাঁচা মরিচ কিনে  দেশের ২০ জেলায় যোগান দিয়ে যাচ্ছে বছরজুড়ে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ঝিনাইদহের বাজার গোপালপুর, ডাকবাংলা, নগর বাথান, ঝিনাইদহ নতুন হাটখোলা, বারো বাজার, কালীগঞ্জ, কোটচাঁদপুর, খালিশপুর, হাট গোপালপুর, ভাটইবাজার ও শেখপাড়ায় বিশাল কাঁচা মরিচের জমজমাট হাট বসছে। বাজার গোপালপুর বাজারে দেখা যায়, পার্শ¦বর্তী চুয়াডাঙ্গা জেলার হিজল গাড়ী, আন্দুলবাড়িয়া, গবরগাড়া, তেঘরী, বাটিকা ডাঙ্গা, তিতুদোহা, হুলিয়ামারি, হরিনাকুন্ডু উপজেলার কুলবাড়িয়া, নারয়নকান্দি, হিজলী,কাপাশহাটিয়া, শাখারীদহ, গবরাপাড়া, সোনাতনপুর, কোটচাঁদপুর উপজেলার তালশার, দোড়া, পাঁচলিয়া, দয়ারামপুর, ধোপাবিলা, লক্ষীপুর, সদর উপজেলার মধুহাটি, সাধুহাটি, হলিধানী এবং সাগান্না ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের চাষীরা তাদের ক্ষেতের মরিচ বিক্রি করতে নিয়ে আসেন। বাজার গোপালপুর হাট মালিক ইছাহাক আলী জানান, হাটবাজার ইজারা নেয়ার পর তিনি সিদ্ধান্ত নেন, এলাকায় প্রচুর কাঁচা মরিচের চাষ শরু হয়েছে। এখানে কাঁচা মরিচের পাইকারী হাট বসানো হলে এলাকার চাষীদের কষ্ট করে দুরের হাটে যেতে হবেনা। এতে করে চাষীরা যেমন সুবিধা পাবে, তেমনি হাটের টোল আদায়ও বেশী হবে। তাই তিনি কাঁচা মরিচের পাইকারী হাট লাগানোর উদ্দ্যোগ নেন। তিনি আরো জানান, বর্তমানে এই হাটে দুরদূরান্ত থেকে চাষীরা তাদের ক্ষেতের মরিচ নিয়ে এসে সরাসরি পাইকারী ব্যাপারীদের কাছে ন্যায্য মূল্য বিক্রি করে থাকেন। প্রতিদিন বাজার বসার কারণে চাষীদের ক্ষেতের ফসল নষ্ট হয়না। এই হাটে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ জন শ্রমিক কাজ করে। মরিচ ওজন করা থেকে শুরু করে বস্তায় ভরা ও গাড়ী  লোড দেয়া পর্যন্ত তাদের দায়িত্ব থাকে। এতে তারা বস্তা প্রতি ৫০ টাকা মজুরী পেয়ে থাকেন। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের মরিচ চাষী রফিকুল ইসলাম জানান, চলতি মেীসুমে ১৬ বিঘা জমিতে মরিচ চাষ করেছেন। এবার মরিচের দাম ভালো, যদি বর্ষায় গাছ মরে না যায় তাহলে মরিচ চাষে প্রচুর লাভবান হবেন তিনি। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ওয়াড়িয়া গ্রামের কৃষক চাঁন মিয়া বলেন, ৫ বিঘা জমিতে তিনি মরিচের আবাদ করেছেন। দাম যদি ভাল থাকে তাহলে ৫বিঘা জমিতে ৫ লাখ টাকার মরিচ বিক্রি করতে পারবেন তিনি।