বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪
Online Edition

প্রথম ম্যাচেই ঢাকাকে হারিয়ে বিপিএল শুরু রাজশাহীর

স্পোর্টস রিপোর্টার : নিজেদের প্রথম ম্যাচেই বড় জয় দিয়েই বঙ্গবন্ধু বিপিএল শুরু করেছে রাজশাহী রয়্যালস। গতকাল দিনের প্রথম ম্যাচে রাজশাহী রয়্যালস ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারায় মাশরাফি-তামিমের ঢাকা প্লাটুনকে। আগে ব্যাট করে ঢাকা প্লাটুন ৯ উইকেটে করেছিল ১৩৪ রান। জয়ের জন্য ১৩৫ রানের টার্গেটটা সহজই ছিল রাজশাহীর সামনে। আর ব্যাট করতে নেমে জয়টাকে আরো সহজ করে নেন রাজশাহীর টপ অর্ডারের ব্যাটসম্যানরা। মাত্র এক উইকেট হারিয়ে ১৮.২ ওভারে ১৩৬ রান করে রাজশাহী ম্যাচ জিতে ৯ উইকেটে। জয়ের জন্য ভালো সূচনা করেন রাজশাহীর দুই ওপেনার হযরতউল্লাহ জাজাই ও উইকেটরক্ষক লিটন দাস। বিশেস করে হযরতউল্লাহ জাজাই ওপেনিংয়ে নেমে দলকে বিশাল জয় এনে দিয়েই মাঠ ছাড়েন। রাজশাহীর জয়ে প্রথম ম্যাচেই বড় ব্যবধানে হারতে হয়েছে মাশরাফি-তামিমের ঢাকাকে। জয়ের জন্য ১৩৫ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে রাজশাহীর দুই ওপেনার জাজাই আর লিটন দাস প্রথম থেকেই ছিলেন মারমুখী। ফলে ওপেনিং জুটির উপর ভর করেই রাজশাহী তুলে নেন ৬২ রান। দলীয় ৬২ রানে লিটন দাস আউট হলেও আর কোন উইকেট না হারিয়েই দলটি জয় পায় ৯ উইকেটে। লিটনের বিদায়ের পর পাকিস্তানের শোয়েব মালিককে নিয়ে অবিচ্ছিন্ন ৭৪ রানের জুটি গড়ে রাজশাহীর জয় নিশ্চিত করেন জাজাই। অবশ্য ওপেনিং জুটিতেই খেলা শেষ করতে পারত রাজশাহী। কিন্তু দলীয় ৬২ রানে আরিফুল হকের ক্যাচ বানিয়ে লিটন দাসকে ফিরান মেহেদী হাসান। তবে আউট হওয়ার আগে ২৭ বলে চার বাউন্ডারি আর দুই ছক্কায় লিটন দাস করেন ৩৯ রান। 

লিটন দাস আউট হলেও শোয়েব মালিককে নিয়ে দল বল বাকি থাকতেই দলকে জয় এনে দেন জাজাই। ঢাকার বোলাররা বাববার চেস্টা করেও রাজশাহীর বড় জয়ের পথে বাধা হতে পারেননি। জাজাই ৫৬ রানে আর শোয়েব মালিক ৩৬ রানে অপরাজিত থেকেই মাঠ ছাড়েন। ৪৭ বলে ৫ চার আর ৩ ছক্কায় সাজানো ছিল ওপেনার হযরতউতুল্লাহ জাজাইয়ের ইনিংসটি। শোয়েব মালিক তার ৩৬ রানের  ইনিংসটি সাজান ৩৬ বলে তিন চার আর এক ছক্কায়। ঢাকার পক্ষে মেহেদী হাসান ছাড়া কোন বোলারই উইকেট পাননি। মাশরাফি-আফ্রিদি সবাই ছিলেন ব্যর্থ। ফলে বড় জয়ে বিপিএল শুরু করে রাজশাহী।  এর আগে টস জিতে ঢাকাকে আগে ব্যাট করতে পাঠান রাজশাহীর অধিনায়ক আন্দ্রে রাসেল। তবে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ম্যাচে জ্বলে উঠতে পারেননি ঢাকার ব্যাটসম্যানরা। দলীয় ১৫ রানে ওপেনার তামিম ইকবালকে ৪ রানে হারায় ঢাকা প্লাটুন। এরপর বড় ইনিংস খেলার আভাস দিয়েছিলেন এনামুল হক ও ইংল্যান্ডের লরি ইভান্স। ভালো শুরুর পরও ছোট ইনিংস খেলে থামেন তারা। এনামুল ১টি চার ও ২টি ছক্কায় ৩৩ বলে ৩৮ রান করেন। ইভান্সের ব্যাট থেকে আসে ১৩ রান। চার নম্বরে নেমে জাকের আলিও বড় ইনিংস খেলার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ২১ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি। এরপর ঢাকার চার ব্যাটসম্যান দু’অংকের কোটা স্পর্শ না করেই ফিরে যান। আর তাতেই দলের  বড় সংগ্রহের পথ শেষ হয়ে যায়। শ্রীলংকার থিসারা পেরেরা ১, আরিফুল হক ৫, পাকিস্তানের শহিদ আফ্রিদি শূন্য ও মেহেদি হাসান ৬ রান করে আউট হলে   ১০৩ রানেই অষ্টম উইকেট হারায় ঢাকা। তবে শেষদিকে পাকিস্তানের ওয়াহাব রিয়াজের ১২ বলে ১৯ ও অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার ১০ বলে অপরাজিত ১৮ রানের সুবাদে ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৩৪ রানের সম্মানজনক স্কোর পায় ঢাকা। ওয়াহাব ২টি চার ও ১টি ছক্কা এবং মাশরাফি ২টি ছক্কা মারেন। রাজশাহীর আবু জায়েদ ২ উইকেট নেন।

সংক্ষিপ্ত স্কোর :

ঢাকা প্লাটুন : ১৩৪/৯ (২০ ওভার)

রাজশাহী রয়্যাালস : ১৩৬/১ (১৮.২ ওভার)

রাজশাহী ৯ উইকেটে জয়ী। 

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ